করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গত ২২ ফেব্রুয়ারি খুলে দেওয়া হয় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আর ২ মার্চ প্রাথমিক ও সবশেষ আজ মঙ্গলবার শুরু হলো প্রাক-প্রাথমিকের শ্রেণিপাঠদান। পুরোদমে স্কুল খোলার দিনে রাজধানীতে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট । সেই সঙ্গে তীব্র গরমের কারণে যানজটে থাকা মানুষের ভোগান্তি দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। এদিকে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে চলতে গিয়ে যানজটে নিজেদের অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করছেন অনেকেই।

মঙ্গলবার সকাল থেকে রাজধানীর মহাখালী, ফার্মগেট, কাওরান বাজার, বাংলামোটর, শাহবাগ, রামপুরা, তেজগাঁও, ধানমন্ডি ও মোহাম্মদপুরসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে তীব্র যানজট দেখা গেছে। এর রেশ চলছিল বিকেল পর্যন্ত। এই যানজট সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

পুলিশ সদস্যরা বলছেন, আজ থেকে স্কুল খোলা হয়েছে। সকাল থেকেই অভিভাবকরা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তার সন্তানকে নিয়ে এসেছেন। এদের অনেকের সঙ্গেই গাড়ি রয়েছে। আর এই গাড়ির কারণেই সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের। একদিকে স্কুল-কলেজ, অন্যদিকে অফিস; দু’য়ে মিলেই সড়কে গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে। আর এর ফলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। তবে যানজট কমাতে কাজ করা হচ্ছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তেজগাঁও বিভাগের ট্রাফিক উপ-পুলিশ কমিশনার সাহেদ আল মাসুদ গণমাধ্যমকে বলেন, স্কুলে আসা অনেক গাড়িই সড়কের পাশে পাকিংয়ে রাখা হয়। স্কুল-কলেজ পুরোদমে খোলায় সড়কে গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে, সেইসঙ্গে অফিসগামী মানুষের চাপতো আছেই। যে কারণে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজটের। বিষয়টি সামাল দিতে আমাদের কষ্ট হচ্ছে, তবে আমরা আমাদের তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছি।

এ দিকে সকাল থেকে বিভিন্ন সড়কে যানজটে আটক পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন অনেকেই। সাহিত্যিক আনিসুল হক তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘গুগল ম্যাপ বললো, নজরুল ইসলাম এভিনিউ ধরলে ৪ মিনিট বাঁচবে, লাগবে ২২ মিনিট। মগবাজার ফ্লাইওভার বাদ দিলাম ৪ মিনিট বাঁচাতে। সোয়া এক ঘণ্টা কেটে গেল… আমি অপার হয়ে বসে আছি…মাঝপথে… ওহে দয়াময়… পারে লয়ে যাও আমায়’।